যশোরের বেনাপোলে প্রকাশ্যে স্কুলের সামনে থেকে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাগমারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার কাগমারি গ্রামের জাহিদ হোসেনের মেয়ে জাকিয়া পারভীন (১৫) ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শেষে মা শিখা খাতুনকে (৩৬) সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জাকিয়া। পথে দিঘীরপাড় গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (২২), কাগমারির জিসান (২২), ভবেরবেড় গ্রামের নাইমুর (২৬)সহ আরও ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও একটি সাদা প্রাইভেটকার নিয়ে তাদের পথরোধ করে।
সাক্ষীরা জানান, দুর্বৃত্তরা প্রথমে শিখা খাতুনকে বেদম মারধর করে। পরে সুমন অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক জাকিয়াকে গাড়িতে তুলে নেয়। শিখা খাতুনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও দুর্বৃত্তরা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিনই ভুক্তভোগীর মা বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগ দায়েরের দুই দিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি বা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি।
অভিযোগকারীর বাবা জাহিদ হোসেন জানান, এর আগেও সুমন তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে মেয়েকে শার্শা পাইলট স্কুল থেকে কাগমারি স্কুলে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আবারও একই কায়দায় অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গেছে।
কাগমারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, “আমাদের স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছাত্রী অপহরণের মতো ঘটনা প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। আমরা দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধারের দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযানে নেমেছে। অপহৃতাকে উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়রা বলেন, প্রকাশ্যে দিনের আলোয় স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা দ্রুত অপহৃতাকে উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।