ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে ভয়াবহ নৃশংসতায় খুন হন ভাঙারী ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। ভিডিওতে ধরা পড়ে—মাথায় পাথর মেরে, পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে তার মরদেহের ওপর পাশবিক উল্লাসে লাফাচ্ছিল খুনিরা।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে ঘটে এই নির্মমতা। নিহতের পরিবারের দায়ের করা মামলায় যুবদল সম্পৃক্ততার অভিযোগে দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিএনপিকে দায়ী করে তীব্র সমালোচনা করেছে। বিএনপি অবশ্য দাবি করেছে, ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি থেকে তারা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয় না—এটি শুধুই নোংরা রাজনীতি।
পুলিশ-র্যাব অভিযানে মূলহোতাসহ চারজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো পলাতক অনেকে। ভাইরাল ভিডিও আর সিসিটিভি ফুটেজে সবার পরিচয় মিলেছে।
দেশজুড়ে ক্ষোভ আর প্রতিবাদে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা, চলছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি